ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘রোহিঙ্গারা কক্সবাজারকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::  ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গারা এদেশে অনুপ্রেবশ করে। বিদেশী রাষ্ট্রের অনুরোধ ও মানবিক কারনে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে পযটন শহর কক্সবাজার কে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার সময় উখিয়ার একরাম মার্কেট চত্বরে আমরা কক্সবাজারবাসী নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিশাল মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এসময় বক্তারা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অপরাধ দমন, দেশি-বিদেশী এনজিওর ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা বন্ধের দাবী জানান।

বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা-দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন ঠেকাতে দেশি-বিদেশি এনজিও’র ষড়যন্ত্র এবং রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন সহ সকল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে জেলাব্যাপী লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন জেলার গণমানুষের দাবি আদায়ে বৃহৎ সামাজিক সংগঠন আমরা কক্সবাজারবাসী।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের জেলা শাখার সহ সভাপতি যথাক্রমে- সমীর পাল, আনিসুল হক চৌধুরী, ফাতেমা আনকিস ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মহসীন শেখ, সংগঠনের উখিয়া শাখার সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল হক বাবুল, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, সাংবাদিক রতন কান্তি দে, উখিয়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান জামাল রাজু, পালংখালী ১ নং ওয়ার্ডের এমইউপি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেম্বার ফজলুল কাদের ভুট্টু, উখিয়া যুবলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম রশিদ, উখিয়া যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু, রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হেলাল উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ইয়াবা এবং অস্ত্র সাথে নিয়ে আসে। প্রথম থেকেই তারা এদেশে প্রবেশ করে পরিবেশ ধ্বংস করে। জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট করে। এরপর থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার জেলাসহ সারাদেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ আদায়, খুন, ডাকাতী, অস্ত্র তৈরি, অস্ত্র ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে আসছে। এমন কি, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা জঙ্গি সংগঠন ❝আল ইয়াকিন ও আরশা❞ তাদের নিজস্ব মূদ্রা চালু করেছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অশনিসংকেত। এছাড়াও স্থানীয়দেরও হত্যা ও ঘরবাড়িতে হামলাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করছে। এতে পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
বক্তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার খাতিরে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের এদেশে স্থান দিয়েছে। এতে এখানকার সর্বস্তরের মানুষেরও পূর্ণ সমর্থন ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতেতে সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করলেও দেশি-বিদেশি এনজিও’র ষড়যন্ত্রের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বোপরি দেশি-বিদেশি এনজিও’র পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রের কারণে রোহিঙ্গারা অব্যাহত অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে আসছে। দ্রুত এসব রোহিঙ্গাদের তাড়ানো সম্ভব নাহলে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনে রূপ নিবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
বক্তারা অবিলম্বে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া শাখার সহ সভাপতি একরামুল হক, শহর শাখার সভাপতি সফিনা আজিম, জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মা টিনটিন রাখাইন, জেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, জেলা শাখার সহ দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহিম, শহর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, সহ মহিলা বিষয়ক একটি নাজমা সুলতানা রুমা, সিইএইচআরডিএফ এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, রাজা পালং ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোস্তাফা কামাল পাশা, এতে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

পাঠকের মতামত: